ব্রেকিং নিউজঃ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) কভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র হিসেবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। গড়গড়ার সঙ্গে কুলি করতে বলছে। পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে বলছে। মুখ ধুতে বলেছে। যা ১৪০০ বছর আগে ইসলাম অর্থাৎ আমাদের নবীজি এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইন উদ্ভাবন করেন মোহাম্মদ (সা.): মার্কিন গবেষক।করোনায় মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা ছড়ায় না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় দোয়া ও দিকনির্দেশনা নিচে। ইসলামিক জ্ঞান।: জানাযার নামায সম্পর্কে প্রয়োনীয় তথ্য

Pages

জানাযার নামায সম্পর্কে প্রয়োনীয় তথ্য


জানাযার নামায ফরয়ে কেফায়া অর্থাৎ ইহা আদায় না করলে উক্ত গ্রামের সকলেই গুনাহগার হবে। কিন্তু কিছু লোক আদায় করে নিলে আর কেউ গুনাহগার হবে না।
 জানাযার নামাজ চার তাকবীরের সঙ্গে আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজে তাকবীর দেয়ার সময় হাত তুলতে হয়, তবে জানাজার নামাজে তাকবীর দেয়ার সময় হাত তোলার প্রয়োজন পড়ে না।
জানাযা নামাযের নিয়মঃ
১. প্রথম তাকবীরের পর ছানা পড়া
২. দ্বিতীয় তাকবীরের পর দরূদ পড়া
৩. তৃতীয় তাকবীরের পর জানাযার দুআ পড়া
৪. চতুর্থ তাকবীরের পর সালাম ফিরানো।
জানাযার নামাযের ফরয ২ টি :
১. চারবার আল্লাহু আকবার বলা। ২.দাঁড়িয়ে জানাযার নামায পড়া।
 জানাযার নামাযের সুন্নাত ৩ টি :
১. প্রথম তাকবীরের পর ছানা পড়া
২. দ্বিতীয় তাকবীরের পর দরূদ পড়া
৩. তৃতীয় তাকবীরের পর জানাযার দুআ পড়া
জানাজার নামাজের নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ

এখানে নিয়তে লেহাযাল মাইয়্যেতেপুরুষ/ছেলে লাশ হলে পড়তে হবে, আর লাশ নারী/মেয়ে হলে লেহাযিহিল মাইয়্যেতেবলতে হবে।
নিয়ত আরবিতে করতে না পারলে বাংলায় করলেও চলবে
আমি চার তাকবিরের সহিত ফরজে কিফায়া জানাজার নামাজ কিবলামুখী হয়ে ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে মরহুম ব্যক্তির (পুরুষ/মহিলার) জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।"
জানাজার নামাজে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা ও রাসূলের ওপর দরুদ পাঠ করা হয়। বাংলায় নিয়ত করলে তা বাংলায় বলে অথবা মনে মনে নিয়তে আনলেও চলবে।

আরবিতে সানা:
سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্!আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময় ,তোমার নাম বরকতময়,তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে,আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বূদ নেই।
২য় তাকবিরের পর দরুদ শরীফ পড়া:
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবংতাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।
দরুদ শরীফ পড়ার পর তৃতীয় তাকবীর আদায় করে জানাজার দোয়া পড়তে হয়।
জানাজার দোয়া:
اللَّهُمَ اغْفِرْلحَيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الاْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত, আমাদের মৃত, আমাদের মধ্যে উপস্থিত ও অনুপস্থিত, আমাদের ছোট ও বড়, আমাদের পুরুষ ও নারী সবার গোনাহ ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি যাদের জীবিত রেখেছেন তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখুন। আপনি যাদের মৃত্যু দেন, তাদের ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করুন।
হে আল্লাহ আমাদেরকে তার সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করবেন না। এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে গোমরাহ বা বিপদে ফেলবেন না।
তবে নাবালক ছেলের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وْاَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَمُشَفَّعًا

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
নাবালিকা মেয়ের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে
اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًاوَاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَمُشَفَّعَة

বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
জানাযার দোয়া জানা না থাকলে এ ছোট্ট দোয়াটি পড়া
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ সকল মুসলিম নর নারীকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

যদি কারো নামাজে আসতে দেরী হয়ে যায়, তবে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করতে হবে। সম্ভব হলে চার তাকবীর আদায় করে নিতে হবে, তা যদি সম্ভব না হয়, তবে ইমাম সাহবকে অনুসরণ করে সালাম ফিরিয়ে নিয়ে জানাজা নামাজ সম্পন্ন করবে। জানাজা নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়,তাই এটি কাজা পড়ার সুযোগ নেই।

মাসআলাঃ 
কোন ব্যক্তির মৃত্যু যখন নিকটবর্তী হয় অর্থাৎ মরনাপন্ন অবস্থায় যখন পতিত হয়, তখন তাহাকে উত্তর দিকে মাথা ও পশ্চিমমুখী করিয়া ডান দিকে কাত করিয়া শোয়ানো সুন্নাত। এমতাবস্থায় তাহার নিকট বসিয়া জোরে জোরে কালিমা পড়িবে। তাহাকে কালিমা পড়িবার জন্য জবরদস্তি করা ঠিক হবে না। কেননা ঐ মুহুর্তটা ভীষণ কষ্টদায়ক। এ ছাড়াও জোরাজুরিতে তাহার মুখ দিয়ে কোন খারাপ কথা বাহির হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আশা করা যায়, পার্শ্বে বসিয়া জোরে জোরে কালিমার তালকীন শুনিয়া সেও পড়িয়া নিবে।
এরুপ অবস্থায় নিকটে বসিয়া সূরায়ে ইয়াসিন পড়িলে মৃত্যুর কষ্ট কম হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর লাশের পাশে গোসলে পূর্বে কুরআন বা তাহার কোন অংশ তিলাওয়াত করা যাবে না।
মৃত্যুর পর করণীয় :-
মৃত্যুর পর শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঠিক করিয়া দেয়া। হাত পা বাঁকা থাকিলে উহা টানিয়া সোজা করিয়া দেয়া।চক্ষুদ্বয়  হাতে বন্ধ করিয়া দেয়া এবং একখানা কাপড় দ্বারা মুখ এইভাবে বন্ধ করিবে যে, কাপড় তাহার থুতনীর নিচ দিয়া বাহির করিয়া কাপড়ের উভয় মাথা তাহার মাথার উপরে নিয়ে গিরা লাগাইতে হবে।যাহাতে মুখ খুলিয়া যাইতে না পারে। তৎপর পায়ের উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি মিলাইয়া বাঁধিয়া দিবে এবং একখানা চাদর দিয়ে সারা শরীর ঢাকিয়া দেয়া। যত দ্রুত সম্ভব গোসল ও কাফন-দাফনের কাজ সমাধা করা।
মাইয়াতের ‍মুখ ও চোখ বন্ধ করিবার সময় নিম্নের দু’আটি পড়িবে।

بِسْمِ اللهِ وَ عَلَى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ-

অনুবাদঃ আললাহপাকের নামে ও তাঁহার রাসূলের মাযহাবের (ধর্মমত) উপর (ইহাকে) সোপর্দ করিলাম।
মাইয়াতের গোসল:-
কাফন -দাফনের সামগ্রী তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করিয়া একখানা চওড়া তক্তা অথবা তক্তপোষের (গোসলের খাট) চারদিকে ৩,৫,৭ বার লোবান অথবা আগরবাতি দ্বারা ধূমায়িত করিয়া তাহার উপর মৃত ব্যক্তিকে রাখিবে। অতপর তাহার পরিধানের সমস্ত কাপড় খুলিয়া ফেলিবে। শুধু নাভী হইতে হাঁটু পর্যন্ত একখানা কাপড় দ্বারা ঢাকিয়া রাখিবে।
মাইয়াতের গোসলের নিয়ামঃ
মৃত ব্যক্তিকে বরই গাছের পাতাযুক্ত গরম পানি দ্বারা গোসল করানো। ইহা পাওয়া না গেলে স্বাভাবিক পানি দ্বারা গোসল দিবে।
সর্বপ্রথম মৃত ব্যক্তিকে ইস্তেঞ্জা করাতে হবে, অর্থাৎ পানি দ্বারা তাহার লজ্জাস্থান ও বাহ্যদ্বার ধৌত করিতে হইবে।কিন্তু সাবধান! কোনক্রমেই তাহার সতর স্পর্শ বা দর্শন করা যাবে না। হাতে কিছু কাপড় পেঁচিয়ে কাপড়ের নিচে তাহ প্রবেশ করানো।অতপর অযু করানো, কিন্তু কুলি ও নাকের ভিতর পানি দেওয়া যাবে না। বরং নাক,মুখ ও কানের ছিদ্র তুলা বা কাপড় দ্বারা বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে ভিতরে পানি যেতে না পারে। (হাতের কব্জা ধোয়াবে না)। অযু শেষ করার পর তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের গোড়া এবং নাকের ছিদ্র ৩ বার মুছে পরিস্কার করে দিতে পারলে ভাল। তবে মৃত ব্যক্তি জানাবাতের অবস্থায় মারাগেলে ঐ রুপ তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের গোড়া এবং নাকের ছিদ্র  মুছে পরিস্কার করা ওয়াজিব। তারপর মাথা ও (পুরুয় হলে) দাড়ি সাবান ইত্যাদি ‍দ্বারা উত্তমরুপে ধৌত করা। অতপর বাম করটে শোয়ায়ে মাথা হতে পা পর্যন্ত তিনবার এমনভাবে পানি ঢালতে হবে যাতে বাম পাশে পানি পৌছে যায়। তার পর ডান পার্শ্বে শয়ন করিয়ে ঐরুপ ৩ বার পানি ঢালা। ইহার পর তাকে গোসল প্রদানকারীর শরীরের সহিত টেক লাগিয়ে একটু বসাবে এবং ধীরে ধীরে তাহার পেট মালিশ করা ও পেটে সামান্য চাপ দেয়া।যদি পায়খানা ইত্যাদি কিছু বাহির হয়, তাহলে ঢিলা ইত্যাদি দ্বারা পরিস্কার করিয়ে ধুয়ে দেয়া।কিন্তু অযু গোসল পুনরায় দিতে হবে না।অতপর পাক কাপড় দ্বারা মৃত ব্যক্তির শরীরের পানি শুকিয়ে (মুছিয়ে) কাফন পরাতে হবে। 
সমস্ত শরীর ৩ বার ধৌত করা সুন্নাত। একাবার সমস্ত শরীর ধৌত করিলেও ফরয আদায় হয়ে যাবে। 
কাফন দেওয়ার নিয়ম:
পুরুষের জন্য ৩টি কাপড় দেয়া সুন্নাত।১. ইযার(মাথা হতে পা পর্যন্ত) ২. লেফাফ বা চাদর (উক্ত মাপের) ৩. কোর্তা (গলা হতে পায়ের অর্ধ থোরা পর্যন্ত) এবং মহিলাদের এই ৩টি ছাড়াও আরোও অতিরিক্ত ২টি কাপড় লাগে। ৪. সেরবন্দ (তিন হাত লম্বা) ৫. সীনাবন্দ (বক্ষ হতে রান পর্যন্ত যাতে শরীরকে বেষ্টন করতে পারে)

পুরুষের কাফন পড়ানোর পদ্ধতি-
ক. প্রথমেই কাফনের চাদর চৌকি বা খাটিয়ার উপরে বিছানো।
খ. তারপর চাদরের উপর ইজার (তাহবন্দ) বিছানো।
গ. কাপড়গুলোর মধ্যে খোশবু লাগানো।
ঘ. মৃত ব্যক্তিকে জামা পরিয়ে ইজারের উপর শোয়াতে হবে।
ঙ. তিনবার চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা সুগন্ধি দেয়া সুন্নাত।
চ. তারপর তুলার মধ্যে খোশবু বা সুগন্ধি লাগিয়ে দুই নিতম্বের মাঝে রেখে দেয়া। যাতে মৃত ব্যক্তির সমস্ত শরীরের জন্য সুগন্ধি ছড়ায়।
ছ. তারপর ইজার এমনভাবে জড়াতে হবে যেন, মৃতের ডান পাশ বাম পাশের উপর থাকে। চাদরও এভাবেই পড়ানো।

মহিলার কাফন পড়ানোর পদ্ধতি-
জ. প্রথমে চাদর বিছাতে হবে। তারপর সিনা বরাবর সিনাবন্দ বিছাতে হবে তারপর ইজার বিছাতে হবে।
ঝ. তার পর জামা পরিয়ে মৃতের চুল দু’ভাগ করে বা বেনি করে ডানে ও বাঁমে জামার উপর অর্থাৎ বক্ষের উপর রেখে দিবে।
ঞ. মাথাবন্ধ দিয়ে মাথা পেচিয়ে মুখের উপর রাখবে
ট. তারপর মৃত ব্যক্তিকে ইজারের উপর শোয়াতে হবে
ঠ. ইজার এমনভাবে জড়াতে হবে যেন, ডান পাশ বাম পাশের উপর পড়ে। অনুরূপভাবে সিনাবন্ধ এবং সর্বশেষ চাদর জড়াতে হবে। মহিলাদের বেলায়ও সুগন্ধি ব্যবহার করবে।
সর্বশেষ মাথা ও পায়ের দিকে অতিরিক্ত কাপড়ের মাথায় এবং কোমর বরাবর ফিতা দিয়ে বাঁধতে হবে। দাফনের সময় যেন তা খুলে না যায়। মৃত ব্যক্তিকে কবরে শোয়ানোর পর বাঁধন খুলে দিতে হবে।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত উপরোক্ত নিয়মে মৃত ব্যক্তিকে কাফন পড়ানো। আল্লাহ তাআলা মৃত ব্যক্তির পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে সুন্দরভাবে কাফন পড়ানোর তাওফিক দান
করুন। আমিন।

No comments:

Post a Comment