بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
আকায়েদ
আল্লাহ সম্পর্কে ঃ
আল্লাহঃ যিনি আমাদের মা’বুদ অর্থাৎ যাঁহার ইবাদত আমরা করি, যিনি সর্বশক্তিমান, যাঁহার হুকুমে সমস্ত কিছু সৃষ্টি হইয়াছে ও ধ্বংস হইবে, যাঁহার কোন শরিক নেই, যিনি সমস্ত কিছু দেখিতে ও শুনিতে পান, যিনি অনাদি অনন্ত, যিনি কিয়ামতের দিন আমাদের ভাল মন্দের বিচার করিবেন।তিনিই আল্লাহ্।
রাসুল সম্পর্কে ঃ
রাসুল ঃ আল্লাহ তা’আলার বার্তাবাহক। তাঁহারা মানুষদেরকে আল্লাহার বিধান মত পরিচালনা করার চেষ্টা করিয়াছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসুল। উনার পর আর কোন নবী বা রাসুল দুনিয়াতে আসিবেন না। তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করিয়াছেন ও আল্লাহর বাণী সকলকে শুনাইয়াছেন।
কোরআন কি ?
কোরআন শরীফ ঃ আল্লাহর পেরিত সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ।ইহা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর নাযিল হয়েছিল। ইহাতে মানুষের জীবন বিধান লিপিবদ্ধ আছে।
হাদীস কি?
হাদীসঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলিয়াছেন বা নিজে করিয়াছেন অথবা কাহাকেও (সাহাবাদেরকে) করিতে দেখিয়া নিষেধ করেন নাই, তাহাই হাদিস।
ফরয কি?
ফরয ঃ কুরআন হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা যেসব হুকুম আহকাম নির্দেশিত হইয়াছে তাহাই ফরয। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রমযানের রোযা এবং মালের যাকাত ইত্যাদি।
ওয়াজিব কি?
ওয়াজিব ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার উপর ওয়ায়ীদদ (ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছে) আছে । তাহাই ওয়াজিব। যেমন : ভিতরের নাময।
সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ কি?
সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ কি?
সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার উপর ওয়ায়ীদদ (ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছে) নাই।তাহাই সুন্নতে মুআক্কাদাহ্। যেমন: যোহরের সুন্নত নাময।
সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্ কি?
সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্ ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং কম সময় তাহা পরিত্যাগ করিয়াছেন, তাহাই সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্। যেমন: আসরের নামাযের (পূবে) চার রাকাত সুন্নত।
মুসতাহাব ঃ যা করিলে সওয়াব আছে, না করিলে গুনাহ নাই তাহাই মুস্তাহাব।
তাওহীদ
এক. কালিমায়ে তাইয়্যেবা : لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
বাংলা অর্থ
: আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।
দুই. কালিমা শাহাদৎ : اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا
شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
বাংলা অর্থ : আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে,
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ
নেই। তিনি এক। তাঁহার কোন অংশীদার নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ্র প্রেরিত বান্দা ও রাসূল।
তিন. কালিমা তামজীদ : سُبْحَان لِلّه وَ الْحَمْدُ لِلّهِ وَ لآ اِلهَ اِلّا اللّهُ، وَ اللّهُ
اَكْبَرُ وَلا حَوْلَ وَلاَ قُوَّة ِلَّا بِاللّهِ الْعَلِىّ الْعَظِيْم
বাংলা অর্থ
: মহিমা ও সকল প্রসংশা আল্লাহ্র জন্য, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান, সর্বশক্তিমান ও সর্বক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত আর
কেউ নয়। তিনিই মহান।
চার. কালিমা তাওহীদ : لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ،
لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَحَىُّ لَّا يَمُوْتُ اَبَدًا
اَبَدًا ط ذُو الْجَلَالِ وَ الْاِكْرَامِ ط بِيَدِهِ الْخَيْرُ ط وَهُوَ عَلى كُلِّ
شَئ ٍ قَدِيْرٌ ط
বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই তিনি এক
তার কোন অংশীদার নেই। সমস্ত সৃষ্টি জগৎ এবং সকল প্রশংসা তাঁরই।তিনি জীবন হান করেন আবার
তিনিই মৃত্যুর কারণ তার হাতেই সব ভাল কিছু এবং তিনিই সৃষ্টির সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
পাঁচ.কালিমা মুফাসসাল امنت بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالى والبعث بعد الموت
বাংলা অর্থ : আমি ঈমান আনলাম আল্লাহ তা'আলার উপর; তাঁর ফেরেশতারগণের উপর;তাঁর কিতাব সমূহের উপর; তাঁর রাসূলগণের উপর; আখিরাতের উপর; তাক্বদীরের উপর;ঈমান আনলাম মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার উপর।
পবিত্রতা
:
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?
গোসলের ফরজ মোট ৩টি।
১. রোজাদার না হলে গড়গড়ার সহিত কুলি করা
২. নাকের নরম স্থান
পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো। মহিলাদের নাকের ও
কানের ছিদ্রেও পানি পৌঁছাতে হবে। (দেখুনঃ বেহেশতে জিওর )
গোসলের
সুন্নাত সমূহঃ
1. ফরয গোসলের পূর্বে ইস্তিঞ্জা অর্থাৎ পেশাব করা।(মুসান্নাফে
আব্দুর রাজ্জাক, হাঃনং-1020)
2. শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া।(মুসনাদে
আহমাদ, হাঃনং-12694)
3. পৃথকভাবে উভয় হাত কব্জিসহ ধোয়া।(বুখারী শরীফ,
হাঃনং-248)
4. শরীর বা কাপড়ের কোন স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে প্রথমে
তা তিনবার ধুয়ে পবিত্র করে নেয়া।
(মুসলিম শরীফ, হাঃনং-321)
5. নাপাকী লেগে থাকলে বা না লেগে থাকলে সর্ব অবস্থায়
গুপ্তাঙ্গ ধৌত করা। এরপর উভয় হাত ভালভাবে ধুয়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-249)
6. সুন্নাত তরীকায় পূর্ণ উযু করা। তবে গোসলের স্থানে
পানি জমে থাকলে, গোসল শেষ করে পা ধৌত
করবে। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-260)
7. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-256)
8. এরপর ডান কাধে পানি ঢালবে।(বুখারী শরীফ,
হাঃনং-254)
9. এরপর বাম কাধে পানি ঢালবে।(বুখারী শরীফ,
হাঃনং-254)
10. অতঃপর অবশিষ্ট শরীর ভিজানো। (বুখারী শরীফ,
যেন একটি পশমের গোড়াও শুষ্ক
না থাকে। (আবু দাউদ,
হাঃনং-249/মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃনং-813)
তবে নদী-পুকুর ইত্যাদিতে গোসল করলে কিছুক্ষণ ডুব
দিয়ে থাকলেই তিনবার পানি ঢালার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।</br>(আবু দাউদ, হাঃনং-249/মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃনং-813)
12. সমস্ত শরীর হাত দ্বারা ঘষে-মেজে ধৌত করা।(তিরমিজি,
হাঃনং-107)
অজুর সুন্নাত সমূহ ঃ
১। অজুতে নিয়ত করা ২।বিসমিল্লাহ পড়া, হাঃনং-274) ৩। দোন হাতের কব্জিসহ তিনবার ধোয়া ৪। তিনবার মেছওয়াক করা ৫। তিনবার কুলি করা ৬।তিনবার নাকে পানি দেওয়া ৭। সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া ৮। ডান হাতের কনুইসহ তিনবার ধোয়া ৯।বাম হাতের কনুই সহ তিনবাস দোয়া ১০। দোন হাতের আ্ঙ্গুলী খিলাল করা ১১। সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা ১২। কান মাসেহ করা ১৩। গরদান মাসেহ করা মুস্তাহাব ১৪। ডান পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া ১৫। বাম পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া ১৬। দোন পায়ের আঙ্গুলী খিলাল করা।
ওযুর রুকন ও ফরয :
১। মুখমণ্ডল ধৌত করা। মুখ ও নাক মুখমণ্ডলের অংশ।
২। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩। মাথা মাসেহ করা।
৪। দুই পা টাকনুসহ ধৌত করা।
৫। ওযুর অঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
৬। পরম্পরা রক্ষা করা (অর্থাৎ অঙ্গগুলো ধৌত করার
ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের বিরতি না দেয়া)।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের
মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু
পর্যন্ত ধুয়ে নাও।”[সূরা মায়েদা,
আয়াত: ৬]
দেখুন: ইবনে কাসিম এর হাশিয়াসহ ‘আল-রওযুল মুরবি’ (১/১৮১-১৮৮)]
১। নিয়ত করা
২। সমস্ত মুখ একবার মাসেহ করা
৩। দোন হাতের কনুইসহ একবার মাসেহ করা।
নামাজ ভঙ্গের কারন ১৯ টি
আরবি দোয়া
তায়াম্মুমের ফরয ৩টি
২। সমস্ত মুখ একবার মাসেহ করা
৩। দোন হাতের কনুইসহ একবার মাসেহ করা।
অজু ্ভঙ্গের কারণ ৭টি
১. পায়খানা বা প্রশ্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া(সামান্য হলেও)।২. মুখ ভরিয়া বমি হওয়া।
৩. শরীরের কোন জায়গা হইতে রক্ত,পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পাড়া।
৪. থুতুর সাথে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া।
৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়া ঘুম যাওয়া।
৬. পাগল, মাতাল, অচেতন হওয়া।
৭. নামাযে উচ্চস্বরে হাসা।
নামাজের বাহিরে এবং ভিতরে ১৩ ফরজ:-
নামাজের বাহিরে ৭ ফরজ:
১. শরির পাক
২. কাপড় পাক
৩. নামাজের জায়গা পাক
৪. সতর ঢাকা
৫. ক্বিবলামূখী হওয়া
৬. ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া
৭. নামাজের নিয়্যাত করা
নামাজের ভিতরে ৬ ফরজ:
১. তাকবিরে তাহরীমা বলা
২. দাড়াইয়া নামাজ পড়া
৩. ক্বিরাআত পড়া
৪. রূকু করা
৫. দুই সিজদা করা
৬. আখিরী বৈঠক
নামাজের ওয়াজিব ১৪টি
১. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া।
২. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার
সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো।
৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট
করা।
৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া।
৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা
(অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও
রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক
তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা)।
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার
রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা)।
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।
৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর তারতিব
বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা।
৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায়
করা। (যেমন—দ্বিতীয়
সিজদা প্রথম সিজদার সঙ্গে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু শেষ করে তত্ক্ষণাৎ তৃতীয়
রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর
কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে।
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা।
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত
তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্নভাবে তাকবির
বলা। (এই
তাকবিরটি অন্যান্য নামাজে সুন্নত)
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও
নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবি ও রমজান মাসের বিতর
নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। মনে রাখতে হবে, আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে পড়া
নয়। কেননা এতে নামাজ শুদ্ধ হয় না; বরং আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে পড়া
জরুরি)।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।
বি. দ্র.: উল্লিখিত ওয়াজিবগুলো থেকে কোনো
একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
নামাজের সুন্নাতে
মুয়াক্কাদা ১২ টি
নামাজের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হল এমন কার্যাবলি
যা ছাড়লে নামাজ বাতিল হয়না কিন্তু বিনা কারনে ছাড়লে নামাজ মাকরুহ হয়। তবে কারণ
বষত ছাড়া যায়। নামাজের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ৯টি। যথা-
১. দুই হাত উঠান,
২. দুই হাত বাঁধা ,
৩. সানা পড়া,
৪. আউযু বিল্লাহি মিনা শাইতনির রজিম পড়া,
৫. বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া,
৬. সুরা ফাতেহার শেষে আমিন বলা,
৭. প্রত্যেক উঠা-বসায় আল্লাহু আকবার বলা,
৮. রুকুর তাসবীহ্ বলা,
৯. রুকু হইতে উঠিবার সময় সামিআল্লাহুলিমান
হামিদাহ্ রাব্বানালাকাল হামদু বলা।
১০. সেজদার তাসবীহ বলা,
১১.দুরুদ শরীফ
পড়া,
১২. দুয়ায়ে
মাসুরা পড়া।
১. নামাজে কিরাত অশুদ্ধ পড়া
২. নামাজের ভিতর কথা বলা
৩. কোন লোককে সালাম দেওয়া
৪. সালামের উত্তর দেওয়া
৫. ঊহ-আহ শব্দ করা
৬. ইচ্ছা করে কাশি দেওয়া
৭. আমলে কাছীড় করা যেমন- মোবাইল বন্ধ করা বা
দীর্ঘ সময় নিয়ে শরীর চুলকানো, ইত্যাদি, তবে এক হাত দিয়ে মোবাইল সাইলেন্ট করা
যাবে
৮. বিপদে অথবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা
৯. তিন তাছবীহ পড়ার সময় পরিমাণ সময় ছতর
খূলে থাকা
১০. মূকতাদী ছাড়া অন্য কারো থেকে নামাজ
সম্পর্কিত কোন লোকমা গ্রহণ করা
১১. নাপাক জায়গায় সিজদাহ করা
১২. কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যাওয়া
১৩. নামাজে কুরআন শরীফ দেখে পড়া
১৪. নামাজে শব্দ করে হাসা
১৫. নামাজে দুনিয়াবি কিছু প্রার্থনা করা
১৬. হাঁচির উত্তর দেওয়া
১৭. নামাজে খাওয়া অথবা পান করা
১৮. ইমামের আগে দাঁড়ানো
দুই রাকাত নামাযে যা প্রয়োজন
পবিত্রতা অর্জন করে, পবিত্র স্থানে ক্বেবলা মুখি হয়ে দাঁড়িয়ে, দু’হাত দু’কানের লতি বরাবর
উঠিয়েالله أكبر বলে নাভির নীচে অথবা বুকে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখা।
الله أكبر - আল্লাহ সবচেয়ে বড় (তাকবীরে
তাহরিমা)
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
অর্থ:
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
بِسْمِ الّٰلهِ
الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
অর্থ- পরম করুণাময় অসীম দয়ালু
আল্লাহর নামে শুরু।
সানা আরবি-উচ্চারনঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ
وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা অর্থঃ
হে আল্লাহ্!আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময় ,তোমার নাম
বরকতময়,তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে,আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বূদ নেই।
সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ:-
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ
তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান
ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র
অধিপতি।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ
نَسْتَعِينُ
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই
ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ
الْمُسْتَقِيمَ
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ
عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।
তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা
পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সূরা কাফিরুন বাংলা অর্থসহ:-
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুন, হে কাফেরকূল,
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও
কর্মফল আমার জন্যে।
সূরা ইখলাসের বাংলা অর্থসহ
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক
اللَّـهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
রুকুতে গিয়ে কমপক্ষে ৩ বার তাসবিহ পড়া (সুন্নাত)
سُبْحَانَ
رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
অর্থঃ মহাপবিত্র আমার
প্রতিপালক যিনি মহান ।
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে
অর্থ :
আল্লাহতায়ালা প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন।
রুকু হতে সোজা
হয়ে খাড়া হওয়ার পর দোয়া পড়া।
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً
فِيهِ
অর্থ : “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
অর্থ : “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
সেজদাতে গিয়ে কমপক্ষে ৩ বার তাসবিহ
পড়া (সুন্নাত)
سُبحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلَي
-আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
سُبحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلَي
-আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
দুই সেজদার
মাঝখানে বসা অবস্থায় দোয়া পড়া :
اَللّٰهُمَّ
اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَاعْفِنِيْ وَارْزُقْنِيْ وَازْبِرْنِيْ
وَارْفَعْنِيْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়েত দান কর (অর্থাৎ দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ) আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখ, আমার রুজির ব্যবস্থা করে দাও, আমাকে সুস্থতা দান কর, আমার মান মর্যাদা বাড়িয়ে দাও।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়েত দান কর (অর্থাৎ দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ) আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখ, আমার রুজির ব্যবস্থা করে দাও, আমাকে সুস্থতা দান কর, আমার মান মর্যাদা বাড়িয়ে দাও।
তাশাহহুদ:
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوْاةُ والْطَيِّبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَ عَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ اَشْهَدُاَن ْلَّا اِلٰهَ اِلَّاالله ُوَاَشْهَدُ اَنّ َمُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُهُ –
অর্থ : সমস্ত সম্মান মর্যাদা আল্লাহতায়ালার জন্য এবং নামায (শারীরিক ইবাদাত) এবং আত্মিক (জীবাত্মার) মানসিক (বক্ষস্থিতঅদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব) ও শারীরিক (দেহাভ্যন্তরস্থ রিপুর অনিষ্টমুক্ত) পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা শুধুমাত্র আল¬াহতায়ালার জন্য নিবেদিত। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) রহমত (করুণা) এবং বরকত (অনুগ্রহ) অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং সালিহীন (আত্মিক মানসিক শারীরিক পরিশুদ্ধসম্পন্ন) বান্দাদের প্রতিও সীমাহীন সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল (প্রেরিত পুরুষ)।
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوْاةُ والْطَيِّبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَ عَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ اَشْهَدُاَن ْلَّا اِلٰهَ اِلَّاالله ُوَاَشْهَدُ اَنّ َمُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُهُ –
অর্থ : সমস্ত সম্মান মর্যাদা আল্লাহতায়ালার জন্য এবং নামায (শারীরিক ইবাদাত) এবং আত্মিক (জীবাত্মার) মানসিক (বক্ষস্থিতঅদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব) ও শারীরিক (দেহাভ্যন্তরস্থ রিপুর অনিষ্টমুক্ত) পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা শুধুমাত্র আল¬াহতায়ালার জন্য নিবেদিত। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) রহমত (করুণা) এবং বরকত (অনুগ্রহ) অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং সালিহীন (আত্মিক মানসিক শারীরিক পরিশুদ্ধসম্পন্ন) বান্দাদের প্রতিও সীমাহীন সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল (প্রেরিত পুরুষ)।
দরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَهِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَ هِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবংতাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَهِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَ هِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবংতাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।
দোয়ায়ে মাছুরা:
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ ظَلَمتُ نَفْسِيْ ظُلْمًاكَثِيْرًا وَّ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ فَاغْفِرْلِي ْمَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ اِنَّكَ ا َنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন কেউই পাপসমূহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব তুমি নিজ হাতে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার উপর রহমত (করুণা) বর্ষণ করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ ظَلَمتُ نَفْسِيْ ظُلْمًاكَثِيْرًا وَّ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ فَاغْفِرْلِي ْمَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ اِنَّكَ ا َنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন কেউই পাপসমূহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব তুমি নিজ হাতে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার উপর রহমত (করুণা) বর্ষণ করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
দোয়া
কুনুত:-
দোয়া কুনুত বিতরের নামাযে পড়তে হয়ঃ
الَّلهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ
وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ
الْخَيْر
نَشْكُرُكَ وَلَا
نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ الَّلهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ
وَلَكَ نُصَلِّيْ وَ
وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُوْ
رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِق
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমার
নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি ।
তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার
গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি । আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না
। যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি ।
হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই
এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ
ভোগ করিবে
বিভিন্ন মহামারী ও কঠিন রোগ থেকে বাঁচার দোয়া
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ
وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ الأَسْقَامِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন
ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, তিরমিজী)
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ
الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَالأَدْوَاءِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ
থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিজী)
ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
আরবি দোয়া
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي
بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
অর্থ হে আল্লাহ! আপনি
আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার
অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন। [তিরমিযী
৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ،
وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ
الرِّجَال
অর্থ হে আল্লাহ! নিশ্চয়
আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা
থেকে, ঋণের ভার ও
মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।” [বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩।
আপনার কোন পরামর্শ থাকলে দয়াকরে কমেন্ট করে জানান।
সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।

Allah jeno chesta ke kobul koren.... Ameen
ReplyDelete