ব্রেকিং নিউজঃ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) কভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র হিসেবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। গড়গড়ার সঙ্গে কুলি করতে বলছে। পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে বলছে। মুখ ধুতে বলেছে। যা ১৪০০ বছর আগে ইসলাম অর্থাৎ আমাদের নবীজি এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইন উদ্ভাবন করেন মোহাম্মদ (সা.): মার্কিন গবেষক।করোনায় মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা ছড়ায় না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় দোয়া ও দিকনির্দেশনা নিচে। ইসলামিক জ্ঞান।

Pages

জানাযার নামায সম্পর্কে প্রয়োনীয় তথ্য


জানাযার নামায ফরয়ে কেফায়া অর্থাৎ ইহা আদায় না করলে উক্ত গ্রামের সকলেই গুনাহগার হবে। কিন্তু কিছু লোক আদায় করে নিলে আর কেউ গুনাহগার হবে না।
 জানাযার নামাজ চার তাকবীরের সঙ্গে আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজে তাকবীর দেয়ার সময় হাত তুলতে হয়, তবে জানাজার নামাজে তাকবীর দেয়ার সময় হাত তোলার প্রয়োজন পড়ে না।
জানাযা নামাযের নিয়মঃ
১. প্রথম তাকবীরের পর ছানা পড়া
২. দ্বিতীয় তাকবীরের পর দরূদ পড়া
৩. তৃতীয় তাকবীরের পর জানাযার দুআ পড়া
৪. চতুর্থ তাকবীরের পর সালাম ফিরানো।
জানাযার নামাযের ফরয ২ টি :
১. চারবার আল্লাহু আকবার বলা। ২.দাঁড়িয়ে জানাযার নামায পড়া।
 জানাযার নামাযের সুন্নাত ৩ টি :
১. প্রথম তাকবীরের পর ছানা পড়া
২. দ্বিতীয় তাকবীরের পর দরূদ পড়া
৩. তৃতীয় তাকবীরের পর জানাযার দুআ পড়া
জানাজার নামাজের নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ

এখানে নিয়তে লেহাযাল মাইয়্যেতেপুরুষ/ছেলে লাশ হলে পড়তে হবে, আর লাশ নারী/মেয়ে হলে লেহাযিহিল মাইয়্যেতেবলতে হবে।
নিয়ত আরবিতে করতে না পারলে বাংলায় করলেও চলবে
আমি চার তাকবিরের সহিত ফরজে কিফায়া জানাজার নামাজ কিবলামুখী হয়ে ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে মরহুম ব্যক্তির (পুরুষ/মহিলার) জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।"
জানাজার নামাজে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা ও রাসূলের ওপর দরুদ পাঠ করা হয়। বাংলায় নিয়ত করলে তা বাংলায় বলে অথবা মনে মনে নিয়তে আনলেও চলবে।

আরবিতে সানা:
سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্!আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময় ,তোমার নাম বরকতময়,তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে,আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বূদ নেই।
২য় তাকবিরের পর দরুদ শরীফ পড়া:
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবংতাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।
দরুদ শরীফ পড়ার পর তৃতীয় তাকবীর আদায় করে জানাজার দোয়া পড়তে হয়।
জানাজার দোয়া:
اللَّهُمَ اغْفِرْلحَيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الاْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত, আমাদের মৃত, আমাদের মধ্যে উপস্থিত ও অনুপস্থিত, আমাদের ছোট ও বড়, আমাদের পুরুষ ও নারী সবার গোনাহ ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি যাদের জীবিত রেখেছেন তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখুন। আপনি যাদের মৃত্যু দেন, তাদের ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করুন।
হে আল্লাহ আমাদেরকে তার সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করবেন না। এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে গোমরাহ বা বিপদে ফেলবেন না।
তবে নাবালক ছেলের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وْاَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَمُشَفَّعًا

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
নাবালিকা মেয়ের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে
اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًاوَاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَمُشَفَّعَة

বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
জানাযার দোয়া জানা না থাকলে এ ছোট্ট দোয়াটি পড়া
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
বাংলা অর্থ :  হে আল্লাহ সকল মুসলিম নর নারীকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

যদি কারো নামাজে আসতে দেরী হয়ে যায়, তবে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করতে হবে। সম্ভব হলে চার তাকবীর আদায় করে নিতে হবে, তা যদি সম্ভব না হয়, তবে ইমাম সাহবকে অনুসরণ করে সালাম ফিরিয়ে নিয়ে জানাজা নামাজ সম্পন্ন করবে। জানাজা নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়,তাই এটি কাজা পড়ার সুযোগ নেই।

মাসআলাঃ 
কোন ব্যক্তির মৃত্যু যখন নিকটবর্তী হয় অর্থাৎ মরনাপন্ন অবস্থায় যখন পতিত হয়, তখন তাহাকে উত্তর দিকে মাথা ও পশ্চিমমুখী করিয়া ডান দিকে কাত করিয়া শোয়ানো সুন্নাত। এমতাবস্থায় তাহার নিকট বসিয়া জোরে জোরে কালিমা পড়িবে। তাহাকে কালিমা পড়িবার জন্য জবরদস্তি করা ঠিক হবে না। কেননা ঐ মুহুর্তটা ভীষণ কষ্টদায়ক। এ ছাড়াও জোরাজুরিতে তাহার মুখ দিয়ে কোন খারাপ কথা বাহির হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আশা করা যায়, পার্শ্বে বসিয়া জোরে জোরে কালিমার তালকীন শুনিয়া সেও পড়িয়া নিবে।
এরুপ অবস্থায় নিকটে বসিয়া সূরায়ে ইয়াসিন পড়িলে মৃত্যুর কষ্ট কম হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর লাশের পাশে গোসলে পূর্বে কুরআন বা তাহার কোন অংশ তিলাওয়াত করা যাবে না।
মৃত্যুর পর করণীয় :-
মৃত্যুর পর শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঠিক করিয়া দেয়া। হাত পা বাঁকা থাকিলে উহা টানিয়া সোজা করিয়া দেয়া।চক্ষুদ্বয়  হাতে বন্ধ করিয়া দেয়া এবং একখানা কাপড় দ্বারা মুখ এইভাবে বন্ধ করিবে যে, কাপড় তাহার থুতনীর নিচ দিয়া বাহির করিয়া কাপড়ের উভয় মাথা তাহার মাথার উপরে নিয়ে গিরা লাগাইতে হবে।যাহাতে মুখ খুলিয়া যাইতে না পারে। তৎপর পায়ের উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি মিলাইয়া বাঁধিয়া দিবে এবং একখানা চাদর দিয়ে সারা শরীর ঢাকিয়া দেয়া। যত দ্রুত সম্ভব গোসল ও কাফন-দাফনের কাজ সমাধা করা।
মাইয়াতের ‍মুখ ও চোখ বন্ধ করিবার সময় নিম্নের দু’আটি পড়িবে।

بِسْمِ اللهِ وَ عَلَى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ-

অনুবাদঃ আললাহপাকের নামে ও তাঁহার রাসূলের মাযহাবের (ধর্মমত) উপর (ইহাকে) সোপর্দ করিলাম।
মাইয়াতের গোসল:-
কাফন -দাফনের সামগ্রী তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করিয়া একখানা চওড়া তক্তা অথবা তক্তপোষের (গোসলের খাট) চারদিকে ৩,৫,৭ বার লোবান অথবা আগরবাতি দ্বারা ধূমায়িত করিয়া তাহার উপর মৃত ব্যক্তিকে রাখিবে। অতপর তাহার পরিধানের সমস্ত কাপড় খুলিয়া ফেলিবে। শুধু নাভী হইতে হাঁটু পর্যন্ত একখানা কাপড় দ্বারা ঢাকিয়া রাখিবে।
মাইয়াতের গোসলের নিয়ামঃ
মৃত ব্যক্তিকে বরই গাছের পাতাযুক্ত গরম পানি দ্বারা গোসল করানো। ইহা পাওয়া না গেলে স্বাভাবিক পানি দ্বারা গোসল দিবে।
সর্বপ্রথম মৃত ব্যক্তিকে ইস্তেঞ্জা করাতে হবে, অর্থাৎ পানি দ্বারা তাহার লজ্জাস্থান ও বাহ্যদ্বার ধৌত করিতে হইবে।কিন্তু সাবধান! কোনক্রমেই তাহার সতর স্পর্শ বা দর্শন করা যাবে না। হাতে কিছু কাপড় পেঁচিয়ে কাপড়ের নিচে তাহ প্রবেশ করানো।অতপর অযু করানো, কিন্তু কুলি ও নাকের ভিতর পানি দেওয়া যাবে না। বরং নাক,মুখ ও কানের ছিদ্র তুলা বা কাপড় দ্বারা বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে ভিতরে পানি যেতে না পারে। (হাতের কব্জা ধোয়াবে না)। অযু শেষ করার পর তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের গোড়া এবং নাকের ছিদ্র ৩ বার মুছে পরিস্কার করে দিতে পারলে ভাল। তবে মৃত ব্যক্তি জানাবাতের অবস্থায় মারাগেলে ঐ রুপ তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের গোড়া এবং নাকের ছিদ্র  মুছে পরিস্কার করা ওয়াজিব। তারপর মাথা ও (পুরুয় হলে) দাড়ি সাবান ইত্যাদি ‍দ্বারা উত্তমরুপে ধৌত করা। অতপর বাম করটে শোয়ায়ে মাথা হতে পা পর্যন্ত তিনবার এমনভাবে পানি ঢালতে হবে যাতে বাম পাশে পানি পৌছে যায়। তার পর ডান পার্শ্বে শয়ন করিয়ে ঐরুপ ৩ বার পানি ঢালা। ইহার পর তাকে গোসল প্রদানকারীর শরীরের সহিত টেক লাগিয়ে একটু বসাবে এবং ধীরে ধীরে তাহার পেট মালিশ করা ও পেটে সামান্য চাপ দেয়া।যদি পায়খানা ইত্যাদি কিছু বাহির হয়, তাহলে ঢিলা ইত্যাদি দ্বারা পরিস্কার করিয়ে ধুয়ে দেয়া।কিন্তু অযু গোসল পুনরায় দিতে হবে না।অতপর পাক কাপড় দ্বারা মৃত ব্যক্তির শরীরের পানি শুকিয়ে (মুছিয়ে) কাফন পরাতে হবে। 
সমস্ত শরীর ৩ বার ধৌত করা সুন্নাত। একাবার সমস্ত শরীর ধৌত করিলেও ফরয আদায় হয়ে যাবে। 
কাফন দেওয়ার নিয়ম:
পুরুষের জন্য ৩টি কাপড় দেয়া সুন্নাত।১. ইযার(মাথা হতে পা পর্যন্ত) ২. লেফাফ বা চাদর (উক্ত মাপের) ৩. কোর্তা (গলা হতে পায়ের অর্ধ থোরা পর্যন্ত) এবং মহিলাদের এই ৩টি ছাড়াও আরোও অতিরিক্ত ২টি কাপড় লাগে। ৪. সেরবন্দ (তিন হাত লম্বা) ৫. সীনাবন্দ (বক্ষ হতে রান পর্যন্ত যাতে শরীরকে বেষ্টন করতে পারে)

পুরুষের কাফন পড়ানোর পদ্ধতি-
ক. প্রথমেই কাফনের চাদর চৌকি বা খাটিয়ার উপরে বিছানো।
খ. তারপর চাদরের উপর ইজার (তাহবন্দ) বিছানো।
গ. কাপড়গুলোর মধ্যে খোশবু লাগানো।
ঘ. মৃত ব্যক্তিকে জামা পরিয়ে ইজারের উপর শোয়াতে হবে।
ঙ. তিনবার চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা সুগন্ধি দেয়া সুন্নাত।
চ. তারপর তুলার মধ্যে খোশবু বা সুগন্ধি লাগিয়ে দুই নিতম্বের মাঝে রেখে দেয়া। যাতে মৃত ব্যক্তির সমস্ত শরীরের জন্য সুগন্ধি ছড়ায়।
ছ. তারপর ইজার এমনভাবে জড়াতে হবে যেন, মৃতের ডান পাশ বাম পাশের উপর থাকে। চাদরও এভাবেই পড়ানো।

মহিলার কাফন পড়ানোর পদ্ধতি-
জ. প্রথমে চাদর বিছাতে হবে। তারপর সিনা বরাবর সিনাবন্দ বিছাতে হবে তারপর ইজার বিছাতে হবে।
ঝ. তার পর জামা পরিয়ে মৃতের চুল দু’ভাগ করে বা বেনি করে ডানে ও বাঁমে জামার উপর অর্থাৎ বক্ষের উপর রেখে দিবে।
ঞ. মাথাবন্ধ দিয়ে মাথা পেচিয়ে মুখের উপর রাখবে
ট. তারপর মৃত ব্যক্তিকে ইজারের উপর শোয়াতে হবে
ঠ. ইজার এমনভাবে জড়াতে হবে যেন, ডান পাশ বাম পাশের উপর পড়ে। অনুরূপভাবে সিনাবন্ধ এবং সর্বশেষ চাদর জড়াতে হবে। মহিলাদের বেলায়ও সুগন্ধি ব্যবহার করবে।
সর্বশেষ মাথা ও পায়ের দিকে অতিরিক্ত কাপড়ের মাথায় এবং কোমর বরাবর ফিতা দিয়ে বাঁধতে হবে। দাফনের সময় যেন তা খুলে না যায়। মৃত ব্যক্তিকে কবরে শোয়ানোর পর বাঁধন খুলে দিতে হবে।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত উপরোক্ত নিয়মে মৃত ব্যক্তিকে কাফন পড়ানো। আল্লাহ তাআলা মৃত ব্যক্তির পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে সুন্দরভাবে কাফন পড়ানোর তাওফিক দান
করুন। আমিন।

নামায সম্পর্কিত অতি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য আরবী এবং বাংলায়

    بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
       অর্থ- পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু।


আকায়েদ
আল্লাহ সম্পর্কে ঃ
আল্লাহঃ যিনি আমাদের মা’বুদ অর্থাৎ যাঁহার ইবাদত আমরা করি, ‍যিনি সর্বশক্তিমান, যাঁহার হুকুমে সমস্ত কিছু  সৃষ্টি হইয়াছে ও ধ্বংস হইবে, যাঁহার কোন শরিক নেই, ‍যিনি সমস্ত কিছু দেখিতে ও শুনিতে পান, যিনি অনাদি অনন্ত, যিনি কিয়ামতের দিন আমাদের ভাল মন্দের বিচার করিবেন।তিনিই আল্লাহ্।
রাসুল সম্পর্কে ঃ
রাসুল ঃ আল্লাহ তা’আলার বার্তাবাহক। তাঁহারা মানুষদেরকে আল্লাহার বিধান মত পরিচালনা করার চেষ্টা করিয়াছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসুল। উনার পর আর কোন নবী বা রাসুল দুনিয়াতে আসিবেন না। তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করিয়াছেন ও আল্লাহর বাণী সকলকে শুনাইয়াছেন।
কোরআন কি ?
কোরআন শরীফ ঃ আল্লাহর পেরিত সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ।ইহা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর নাযিল হয়েছিল। ইহাতে মানুষের জীবন বিধান লিপিবদ্ধ আছে।
হাদীস কি?
হাদীসঃ  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলিয়াছেন বা নিজে করিয়াছেন অথবা কাহাকেও (সাহাবাদেরকে) করিতে দেখিয়া নিষেধ করেন নাই, তাহাই হাদিস।
ফরয কি?
ফরয ঃ কুরআন হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা যেসব হুকুম আহকাম নির্দেশিত হইয়াছে তাহাই ফরয। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রমযানের রোযা এবং মালের যাকাত ইত্যাদি।
ওয়াজিব কি?
ওয়াজিব ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার উপর ওয়ায়ীদদ (ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছে) আছে । তাহাই ওয়াজিব।  যেমন : ভিতরের নাময।
সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ কি?
সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার উপর ওয়ায়ীদদ (ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছে) নাই।তাহাই ‍সুন্নতে মুআক্কাদাহ্। যেমন: যোহরের সুন্নত নাময।
সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্ কি?
সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্ ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং কম সময় তাহা পরিত্যাগ করিয়াছেন, তাহাই সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্। যেমন: আসরের নামাযের (পূবে) চার রাকাত সুন্নত।
মুসতাহাব ঃ যা করিলে সওয়াব আছে, না করিলে গুনাহ নাই তাহাই মুস্তাহাব।

তাওহীদ
এক. কালিমায়ে তাইয়্যেবা  :  لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
 বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

দুই. কালিমা শাহাদৎ  :  اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
বাংলা অর্থ : আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক। তাঁহার কোন অংশীদার নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ্র প্রেরিত বান্দা ও রাসূল।
তিন. কালিমা তামজীদ  : سُبْحَان لِلّه وَ الْحَمْدُ لِلّهِ وَ لآ اِلهَ اِلّا اللّهُ، وَ اللّهُ اَكْبَرُ وَلا حَوْلَ وَلاَ قُوَّة ِلَّا بِاللّهِ الْعَلِىّ الْعَظِيْم
 বাংলা অর্থ : মহিমা ও সকল প্রসংশা আল্লাহ্র জন্য, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান, সর্বশক্তিমান ও সর্বক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ নয়। তিনিই মহান।
চার. কালিমা তাওহীদ  :  لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَحَىُّ لَّا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدًا ط ذُو الْجَلَالِ وَ الْاِكْرَامِ ط بِيَدِهِ الْخَيْرُ ط وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ ط
বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই তিনি এক তার কোন অংশীদার নেই। সমস্ত সৃষ্টি জগৎ এবং সকল প্রশংসা তাঁরই।তিনি জীবন হান করেন আবার তিনিই মৃত্যুর কারণ তার হাতেই সব ভাল কিছু এবং তিনিই সৃষ্টির সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
পাঁচ.কালিমা মুফাসসাল امنت بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالى والبعث بعد الموت
বাংলা অর্থ : আমি ঈমান আনলাম আল্লাহ তা'আলার উপর; তাঁর ফেরেশতারগণের উপর;তাঁর কিতাব সমূহের উপর; তাঁর রাসূলগণের উপর; আখিরাতের উপর; তাক্বদীরের উপর;ঈমান আনলাম মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার উপর।

পবিত্রতা :
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?
গোসলের ফরজ মোট ৩টি।
১. রোজাদার না হলে গড়গড়ার সহিত কুলি করা
 ২. নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো। মহিলাদের নাকের ও কানের ছিদ্রেও পানি পৌঁছাতে হবে। (দেখুনঃ বেহেশতে জিওর )


গোসলের সুন্নাত সমূহঃ
1. ফরয গোসলের পূর্বে ইস্তিঞ্জা অর্থাৎ পেশাব করা।(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃনং-1020)
2. শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া।(মুসনাদে আহমাদ, হাঃনং-12694)
3. পৃথকভাবে উভয় হাত কব্জিসহ ধোয়া।(বুখারী শরীফ, হাঃনং-248)
4. শরীর বা কাপড়ের কোন স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে প্রথমে তা তিনবার ধুয়ে পবিত্র করে নেয়া।
(মুসলিম শরীফ, হাঃনং-321)
5. নাপাকী লেগে থাকলে বা না লেগে থাকলে সর্ব অবস্থায় গুপ্তাঙ্গ ধৌত করা। এরপর উভয় হাত ভালভাবে ধুয়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-249)
6. সুন্নাত তরীকায় পূর্ণ উযু করা। তবে গোসলের স্থানে পানি জমে থাকলে, গোসল শেষ করে পা ধৌত করবে। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-260)
7. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা। (বুখারী শরীফ, হাঃনং-256)
8. এরপর ডান কাধে পানি ঢালবে।(বুখারী শরীফ, হাঃনং-254)
9. এরপর বাম কাধে পানি ঢালবে।(বুখারী শরীফ, হাঃনং-254)
10. অতঃপর অবশিষ্ট শরীর ভিজানো। (বুখারী শরীফ, যেন একটি পশমের গোড়াও শুষ্ক না থাকে। (আবু দাউদ, হাঃনং-249/মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃনং-813)
তবে নদী-পুকুর ইত্যাদিতে গোসল করলে কিছুক্ষণ ডুব দিয়ে থাকলেই তিনবার পানি ঢালার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।</br>(আবু দাউদ, হাঃনং-249/মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃনং-813)
12. সমস্ত শরীর হাত দ্বারা ঘষে-মেজে ধৌত করা।(তিরমিজি, হাঃনং-107)

অজুর সুন্নাত সমূহ ঃ
১। অজুতে নিয়ত করা ২।বিসমিল্লাহ পড়াহাঃনং-274) ৩। দোন হাতের কব্জিসহ তিনবার ধোয়া ৪। তিনবার মেছওয়াক করা ৫। তিনবার কুলি করা ৬।তিনবার নাকে পানি দেওয়া ৭। সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া ৮। ডান হাতের কনুইসহ তিনবার ধোয়া  ৯।বাম হাতের কনুই সহ তিনবাস দোয়া ১০। দোন হাতের আ্ঙ্গুলী খিলাল করা ১১। সমস্ত মাথা  একবার মাসেহ করা ১২। কান মাসেহ করা ১৩। গরদান মাসেহ করা মুস্তাহাব ১৪। ডান পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া ১৫। বাম পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া ১৬। দোন পায়ের আঙ্গুলী খিলাল করা।
ওযুর রুকন ও ফরয :
১। মুখমণ্ডল ধৌত করা। মুখ ও নাক মুখমণ্ডলের অংশ।
২। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩। মাথা মাসেহ করা।
৪। দুই পা টাকনুসহ ধৌত করা।
৫। ওযুর অঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
৬। পরম্পরা রক্ষা করা (অর্থাৎ অঙ্গগুলো ধৌত করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের বিরতি না দেয়া)।
আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
দেখুন: ইবনে কাসিম এর হাশিয়াসহ আল-রওযুল মুরবি’ (১/১৮১-১৮৮)]


তায়াম্মুমের ফরয ৩টি
১। নিয়ত করা
২। সমস্ত মুখ একবার মাসেহ করা
৩। দোন হাতের কনুইসহ একবার মাসেহ করা।


অজু ্ভঙ্গের কারণ ৭টি

১. পায়খানা বা প্রশ্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া(সামান্য হলেও)২. মুখ ভরিয়া বমি হওয়া। 
৩. শরীরের কোন জায়গা হইতে রক্ত,পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পাড়া। 
৪. থুতুর সাথে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া। 
৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়া ঘুম যাওয়া। 
৬. পাগল, মাতাল, অচেতন হওয়া। 
৭. নামাযে উচ্চস্বরে হাসা।

 নামাজের বাহিরে এবং ভিতরে ১৩ ফরজ:-
নামাজের বাহিরে ৭ ফরজ:


১. শরির পাক

২. কাপড় পাক

৩. নামাজের জায়গা পাক

৪. সতর ঢাকা

৫. ক্বিবলামূখী হওয়া

৬. ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া

৭. নামাজের নিয়্যাত করা


নামাজের ভিতরে  ফরজ:


১. তাকবিরে তাহরীমা বলা

২. দাড়াইয়া নামাজ পড়া

৩. ক্বিরাআত পড়া

৪. রূকু করা

৫. দুই সিজদা করা

৬. আখিরী বৈঠক

নামাজের ওয়াজিব ১৪টি
১. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া।
২.  প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো।
৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা।
৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া।
৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা (অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা)।
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা)।
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।
৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর তারতিব বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা।
৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। (যেমনদ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সঙ্গে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু শেষ করে তত্ক্ষণাৎ তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে।
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা।
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্নভাবে তাকবির বলা। (এই তাকবিরটি অন্যান্য নামাজে সুন্নত)
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবি ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। মনে রাখতে হবে, আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে পড়া নয়। কেননা এতে নামাজ শুদ্ধ হয় না; বরং আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে পড়া জরুরি)।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। 
বি. দ্র.: উল্লিখিত ওয়াজিবগুলো থেকে কোনো একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
নামাজের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ১২ টি
নামাজের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হল এমন কার্যাবলি যা ছাড়লে নামাজ বাতিল হয়না কিন্তু বিনা কারনে ছাড়লে নামাজ মাকরুহ হয়। তবে কারণ বষত ছাড়া যায়। নামাজের সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ৯টি। যথা-

১. দুই হাত উঠান,
২. দুই হাত বাঁধা ,
৩. সানা পড়া,
৪. আউযু বিল্লাহি মিনা শাইতনির রজিম পড়া,
. বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া,
. সুরা ফাতেহার শেষে আমিন বলা,
৭. প্রত্যেক উঠা-বসায় আল্লাহু আকবার বলা,
. রুকুর তাসবীহ্ বলা,
. রুকু হইতে উঠিবার সময় সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ্ রাব্বানালাকাল হামদু বলা।
১০. সেজদার তাসবীহ বলা,
১১.দুরুদ শরীফ পড়া,
১২. দুয়ায়ে মাসুরা পড়া।

নামাজ ভঙ্গের কারন ১৯ টি
১. নামাজে কিরাত অশুদ্ধ পড়া
২. নামাজের ভিতর কথা বলা
৩. কোন লোককে সালাম দেওয়া
৪. সালামের উত্তর দেওয়া
৫. ঊহ-আহ শব্দ করা
৬. ইচ্ছা করে কাশি দেওয়া

৭. আমলে কাছীড় করা যেমন- মোবাইল বন্ধ করা বা দীর্ঘ সময় নিয়ে শরীর চুলকানো, ইত্যাদি, তবে এক হাত দিয়ে মোবাইল সাইলেন্ট করা যাবে

৮. বিপদে অথবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা

৯. তিন তাছবীহ পড়ার সময় পরিমাণ সময় ছতর খূলে থাকা

১০. মূকতাদী ছাড়া অন্য কারো থেকে নামাজ সম্পর্কিত কোন লোকমা গ্রহণ করা

১১. নাপাক জায়গায় সিজদাহ করা

১২. কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যাওয়া

১৩. নামাজে কুরআন শরীফ দেখে পড়া

১৪. নামাজে শব্দ করে হাসা

১৫. নামাজে দুনিয়াবি কিছু প্রার্থনা করা

১৬. হাঁচির উত্তর দেওয়া

১৭. নামাজে খাওয়া অথবা পান করা

১৮. ইমামের আগে দাঁড়ানো


দুই রাকাত নামাযে যা প্রয়োজন

পবিত্রতা অর্জন করে, পবিত্র স্থানে ক্বেবলা মুখি হয়ে দাঁড়িয়ে, দুহাত দুকানের লতি বরাবর
উঠিয়েالله أكبر  বলে নাভির নীচে অথবা বুকে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখা
الله أكبر - আল্লাহ সবচেয়ে বড় (তাকবীরে তাহরিমা)
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
 بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
 অর্থ- পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু।
সানা আরবি-উচ্চারন
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ্!আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময় ,তোমার নাম বরকতময়,তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে,আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বূদ নেই।


                        সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ:-
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

     সূরা কাফিরুন বাংলা অর্থসহ:-
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুনহে কাফেরকূল,   
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনাতোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

এবং তোমরাও এবাদতকারী নওযার এবাদত আমি করি

وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ

এবং আমি এবাদতকারী নইযার এবাদত তোমরা কর।

وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

তোমরা এবাদতকারী নওযার এবাদত আমি করি।

لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ

তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও 

কর্মফল আমার জন্যে।



সূরা ইখলাসের বাংলা অর্থসহ                        

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক
اللَّـهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।


রুকুতে গিয়ে কমপক্ষে ৩ বার তাসবিহ পড়া (সুন্নাত)
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
অর্থঃ মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি মহান ।
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে
অর্থ : আল্লাহতায়ালা প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন।
রুকু হতে সোজা হয়ে খাড়া হওয়ার পর দোয়া পড়া।
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
 সেজদাতে গিয়ে কমপক্ষে ৩ বার তাসবিহ পড়া (সুন্নাত)
سُبحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلَي
-আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
দুই সেজদার মাঝখানে বসা অবস্থায় দোয়া পড়া :
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَاعْفِنِيْ وَارْزُقْنِيْ وَازْبِرْنِيْ وَارْفَعْنِيْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়েত দান কর (অর্থাৎ দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ) আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখ, আমার রুজির ব্যবস্থা করে দাও, আমাকে সুস্থতা দান কর, আমার মান মর্যাদা বাড়িয়ে দাও।
তাশাহহুদ:
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوْاةُ والْطَيِّبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَ عَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ اَشْهَدُاَن ْلَّا اِلٰهَ اِلَّاالله ُوَاَشْهَدُ اَنّ َمُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُهُ
অর্থ : সমস্ত সম্মান মর্যাদা আল্লাহতায়ালার জন্য এবং নামায (শারীরিক ইবাদাত) এবং আত্মিক (জীবাত্মার) মানসিক (বক্ষস্থিতঅদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব) ও শারীরিক (দেহাভ্যন্তরস্থ রিপুর অনিষ্টমুক্ত) পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা শুধুমাত্র আল¬াহতায়ালার জন্য নিবেদিত। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) রহমত (করুণা) এবং বরকত (অনুগ্রহ) অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং সালিহীন (আত্মিক মানসিক শারীরিক পরিশুদ্ধসম্পন্ন) বান্দাদের প্রতিও সীমাহীন সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল (প্রেরিত পুরুষ)।
দরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَهِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَ هِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবংতাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।
দোয়ায়ে মাছুরা:
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ ظَلَمتُ نَفْسِيْ ظُلْمًاكَثِيْرًا وَّ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ فَاغْفِرْلِي ْمَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ اِنَّكَ ا َنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন কেউই পাপসমূহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব তুমি নিজ হাতে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার উপর রহমত (করুণা) বর্ষণ করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।



দোয়া কুনুত:-
দোয়া কুনুত বিতরের নামাযে পড়তে হয়ঃ 
 الَّلهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْر
نَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ الَّلهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّيْوَ

 وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِق


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি । তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি । আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না । যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি । হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে


বিভিন্ন মহামারী ও কঠিন রোগ থেকে বাঁচার দোয়া
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ الأَسْقَامِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, তিরমিজী)
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَالأَدْوَاءِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিজী)
ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
আরবি দোয়া 
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
অর্থ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন। [তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩।
 আরবি দোয়া 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَال

অর্থ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।” [বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩।


আপনার কোন পরামর্শ থাকলে দয়াকরে কমেন্ট করে জানান।

সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।

computer.94@yhoo.com